(চিত্রশিল্পী ফ্রিডা কাল্হ’র বিখ্যাত ছবি “My dress hangs there” দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা আমার কবিতা)
বাড়ীটি ছিল সাগরের পারে
সাগর আমার বড়ই প্রিয়
বুকের মধ্যে স্বপ্ন পুষে রাখতে সেই আমাকে শিখিয়েছিল;
আর ঢেউয়ের গর্জনে
আকুল করে তুলেছিল আমার হৃদয়।
প্রাসাদোত্তম সেই বাড়ীটার ব্যেলকনিতে
আজও স্পষ্ট দেখা যায়
রক্তবর্ণ আমার প্রতিচ্ছবি;
আসতে থাকা অথবা যেতে থাকা জাহাজদের সাথে
সাগরের মনোরম দৃশ্যরাজি।
নিজের অস্তিত্বের জানানি দিয়ে, সেইপারে না এইপারে
হাত বাড়িয়ে দাড়িয়ে থাকা ষ্টেচু অব লিবার্টি!
আর আকাশ-বাতাস নিনাদিত শব্দবিহীন আমার কান্নার প্রতিধ্বনি।
তোমার শিকারি দৃষ্টির সেই কারাগারে
হ্যাঙারে আবদ্ধ আমার লাল-সবুজ পোশাকটি!
আছে নাকি এখনও লুকিয়ে কোথায়ও
বকুলের ফুল কুড়িয়ে আনন্দ পাওয়া
পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা করা আমার সেই মনটি ?
ডাষ্টবিনের উচ্ছিষ্টে ছটফট করে
আমার কাটা হাতটাই বা কাকে কী বলতে যাচ্ছিল !
শাপভ্রষ্ট পৃথিবীকে উদ্ধার করার জন্য
না কমোডের কাদায় পুঁতে ফেলার জন্য
ধংসস্তূপদের মধ্যে সমাগতের সমস্বরের চিৎকার ধ্বনি!
আমি বুঝেছি এবং প্রস্তুতও হয়েছি,
এভাবে কত ফুলের কলি পদপিষ্ট হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে;
কত সংগীতই তাল ভুলে গেছে।
সময় আজও স্থির হয়ে আছে।
উরে যায়নি এখনো যুগান্তরী পিপাসার পক্ষী!
যান্ত্রিকতার তাঁরে লটকে বন্দি হচ্ছে সরলতা,
ঠিক আমার পোশাকটার মতনই।
আহ: হ্যাঙারে আবদ্ধ লাল-সবুজ আমার সেই পোশাকটি!